Wednesday, February 8, 2012

সাংবাদিক পরিচয়দানকারী কে এই নিজস্ব প্রতিবেদক? (একটি বানোয়াট প্রতিবেদন)

বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে বিশেষভাবে ক্ষমা প্রার্থী। এটি একটি মিথ্যা প্রতিবেদনের স্যাম্পল কপি মাত্র। কোন তথ্যই সঠিক নয়।


আগে তিনি বিভিন্ন পার্টিতে নিজেকে পরিচয় দিতেন সাংবাদিক হিসাবে। ইদানীং সংবাদপত্রের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি প্রদান করে প্রভাব বিস্তার করছেন। বিভিন্ন সেমিনার বা টকশোতে সুযোগ না পাওয়ায় একটি টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালান কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দল-নির্বিশেষে বিভিন্ন নেতাদের তোষামদপূর্ণ লেখার মাধ্যমে তদবীরবাজি করাই তার প্রধান পেশা। আসলে কে এই নিজস্ব প্রতিবেদক নিজামী?

খোজ নিয়ে জানা গেছে তিনি মুর্শিদে কামেল মোকাম্মেলের মুরীদ। বিভিন্ন স্থানে বিশেষত নাঙ্গলকোট এলাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং অঘোষিত উপদেষ্টা হিসাবে নিজের পরিচয় দেন। তার তোপের মুখে কয়েকটি বারের মালিক থেকে নিয়মিত বখরা নিয়ে থাকেন। গাড়ী বিক্রেতাও এ তালিকায় আছে। বিভিন্ন নেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের মধ্যস্থতায় তিনি অত্যন্ত পারদর্শী।

তার এলাকায় আওয়ামী লীগের কোন্দল সৃষ্টিতে তার ভূমিকা অপরিসীম। মরহুম জয়নাল আবেদিন থেকে বর্তমান সাংসদ লোটাস কামাল সকলের বিরুদ্ধে লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে ও কোন্দলকে উস্কে দিতে তার অপচেষ্টায় কাজ হলেও নিজের গ্রহণযোগ্যতা ঐ অঞ্চলের লোকজনের কাছে শূণ্যের কোটায়। ২০০৮ এর আগের নির্বাচনগুলোতে ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগের পরাজয়ের অন্যতম কারণ তার অযাচিত হস্তক্ষেপ। বিএনপির সাংসদ গফুর ভুইঞার সাথে তার সখ্যতার কারণ আর্থিক লেনদেন ছাড়াও সাইন্স ল্যাবরেটরীর ওভারব্রীজ ভেঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ঠিকাদার গফুর ভুইঞাকে রক্ষা করায় তার বিশেষ ভূমিকা ছিল।

সংবাদপত্র ও সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে নাম ভাঙ্গানোই তার মূল পেশা। তার সাথে সখ্যতা করতে হলে তার মনোনীত ব্যক্তির কাজ করে দিতে হয় বিনিময়ে ডাইনামিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি কয়েকটি ঠিকাদারীর কাজে তার মনোনীত ব্যক্তিরা কাজ না পাওয়ায় পত্রিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কুমিল্লার ঠিকাদারী কাজে আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলের ঠিকাদারদের উপর সে রাগান্বিত। তার ব্যবহৃত অন্যতম হুমকি হল: "বেশী বাড়াবাড়ি কইরলে হেডলাইনে খবর ছাপাই দিমু"।

বসুন্ধরা ও ট্রান্সকম গ্রুপের কোন্দলের ফলে তার ভাগ্য খুলে যায় এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সম্পাদক হবার সুযোগ করে নেয়। প্রকাশকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলেও সে সম্ভবত কোন পত্রিকার একমাত্র সম্পাদক যে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছে।

একটি তথ্য জানা যায় আল-জাজিরার এক সাংবাদিক যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশে আসার পেছনে যাদের হাত ছিল তার মধ্যে নাকি তিনি অন্যতম। সত্যতা কতটুকু জানা যায় নাই তবে গোয়েন্দা সংস্থার এ বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।