Thursday, February 9, 2012

টয়লেট টিস্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাস (কাল্পনিক রম্য লেখা)


টয়লেট টিস্যুর সাথে সংবাদপত্রের তুলনা করার ধৃষ্টতা আমাদের নেই। কোন নাগরিকের এটি করাও উচিত নয় কিন্তু এ দুটোর সাথে সম্পর্কের বাস্তবতা থেকে পাঠকদের বিরত রাখলে নাগরিক হিসাবে আমরা দায়মুক্ত থাকতে পারবোনা।

বসুন্ধরা গ্রুপের শাহ আলমের দুর্দিন শুরু হয় ১/১১ এর পর থেকে। প্রথম আলোর একের পর এক রিপোর্টে তিনি তখন দিশেহারা। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরও যা অব্যহত থাকে। ঠিক এমন একটি সময়ে তার অনুদান গ্রহীতা সাংবাদিকদের একজন মসিহা হিসাবে আবির্ভূত হয়।

তার পরামর্শে মুলত ব্যবসায়িক যুদ্ধের প্রতিষেধক হিসাবে প্রতিষ্ঠা হয় একটি পত্রিকা নাম বাংলাদেশ প্রতিদিন। বাজার দখলের জন্য এক উপদেষ্টার পরামর্শে দানবীর শাহআলম ভর্তুকী দিয়ে দুই টাকা মূল্যে পত্রিকা বিক্রিতে সম্মত হয়।

কিন্তু একি সর্বনাশ! সস্তায় নিউজপ্রিন্ট, প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপণ কোন কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। সবাই সবার ধান্দা ঠিকই করছে কিন্তু সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু কোম্পানী দেউলিয়া হবার উপক্রম।




একজন অর্থনীতিবিদসহ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। জরীপ কার্যের ফলাফলে সকলের মাথায় হাত। ভর্তুকী দিয়ে চালানো পত্রিকা ব্যবহৃত হচ্ছে টয়লেট টিস্যু হিসাবে! রাস্তার খাবার হোটেল থেকে ঝালমুড়িওয়ালারা সের দরে কাগজ কেনার পরিবর্তে বা:প্র:; নিম্ন মধ্যবিত্তদের টয়লেট টিস্যু হিসাবে প্রথম পছন্দ বা:প্র:।

অতপর: হুজুরে মোকাম্মেল ইফতেখারা করে নির্দেশ দেয় এবং নিজামী হলফ করে বলে যে বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু বন্ধ করার কোন প্রকার ষড়যন্ত্রে সে লিপ্ত নয়।


কপাল পুড়লো সুলভে টয়লেট টিস্যু ব্যবহারকারীদের।


বাংলাদেশ প্রতিদিনের দাম বেড়ে দাড়ালো চার টাকা।